মৃত্যুর আগে ভিডিও কলে বাঁচার জন্য বর্ষার আকুতি   


নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: আগস্ট ২০, ২০১৯, ১২:৩০ পিএম
মৃত্যুর আগে ভিডিও কলে বাঁচার জন্য বর্ষার আকুতি   

মৃত্যুর কয়েক ঘন্টা আগেও বাচতে চেয়েছিলেন সুমাইয়া আক্তার বর্ষা। সে আশাতেই ছোট বোন মীমকে ভিডিও কল করে কাঁদতে কাঁদতে বলেছিল,নয়ন আমাকে মেরে ফেলবে, প্রতিদিন আমাকে মারে। আমাকে বাঁচা বোন। মাকে বল কালই এসে আমাকে যেন এই নরক থেকে নিয়ে যায়।

নারায়ণগঞ্জে যৌতুকের দাবীতে স্বামী নয়নের হাতে খুন হওয়ার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে আদরের ছোট বোনের কাছে এভাবেই বাচার আকুতি জানিয়েছিল সুমাইয়া আক্তার বর্ষা। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত স্বামী মোস্তাফিজুর রহমান নয়নকে গ্রেফতার করেছে।

নিহত বর্ষার স্বজনরা জানান, ২০১৩ সালে আলী সাহারদী এলাকার শহিদুল্লাহ মিয়ার ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান নয়নের সাথে রাজধানীর কদমতলী থানার দনিয়া শরাইল এলাকার বাসিন্দা মনজুর ভূঁইয়ার বড় মেয়ে সুমাইয়া আক্তার বর্ষার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের সময় নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও আসবাবপত্র বাবদ দশ লাখ টাকা খরচ করে বর্ষার পরিবার। বর্ষার সংসারে সাড়ে চার বছরের একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে।

বর্ষার বাবা মনজুর ভূঁইয়ার অভিযোগ, গত প্রায় এক বছর আগে নিজের জমি বিক্রি করে বেশ কিছু টাকা হাতে পান তিনি। সেই টাকা নিজের ব্যবসায় বিনিয়োগ করে ফেলেন। তবে জমি বিক্রি করে তিনি টাকা পেয়েছেন সেই খবর জানতে পেরে মেয়ের জামাতা নয়ন ব্যবসা করার অজুহাতে বর্ষার মাধ্যমে তার কাছে পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। এ নিয়ে নয়ন ও বর্ষার মধ্যে পারিবারিক কলহ চলতে থাকে। দাবিকৃত সেই টাকা এখন পর্যন্ত না দেয়ার নয়ন তার স্ত্রী বর্ষার উপর বেশ কিছুদিন ধরে মারধরসহ নানাভাবে শারীরিক নির্যাতন করে আসছে। ঈদের কয়েকদিন আগে থেকে এ পর্যন্ত প্রতিদিনই বর্ষাকে মারধর করতো নয়ন। দাবিকৃত টাকার অজুহাতে সোমবার রাতে নয়ন তার স্ত্রী বর্ষাকে আবারো মারধর করে এবং শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

গো নিউজ২৪/এমআর

অপরাধ চিত্র বিভাগের আরো খবর